মাশরাফি বিন মর্তুজা
ওয়ানডে, টি ২০ আর টেস্ট এ ১৬ বছরে হাটুতে ৭ বার অপারেশন। ক্যারিয়ার এ ১০ বারেরও বেশি ডাক্তারের ছুরির নিচে নিজেকে সোপে দেয়। প্রতি ম্যাচ শেষে হাটু থেকে সিরিঞ্জ দিয়ে বিষাক্ত রস বের করেন। ঘুম থেকে উঠে সঙ্গে সঙ্গে নামতে পারেন না বিছানা থেকে , হাটু কে কয়েক বার ভাঁজ করতে হয় সোজা করতে হয়, তারপর শুরু হয় দিন। তার রাতগুলোও হয়ে উঠে আতঙ্কের ঘুমের মধ্যে অনুভব করে কোনো একটা পা বাকানো যাচ্ছে না। ডাক্তাররা বলেছেন এভাবে ক্রিকেট চালালে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন, কিন্তু দমে যান নি। সব শঙ্কা উরিয়ে বল হাতে বাঘের মত ছুটে চলা। এ যেন অপ্রতিরুদ্ধ এক বিশ্বয়কর গল্প। যার জীবনের পলকে পলকে ছড়িয়ে আছে সাহসীকতা, দেশপ্রেম আর অদম্য এক যোদ্ধার প্রতিচ্ছবি। শত ঝড় ঝাপটা পেরিয়ে লাল সবুজ পতাকার সম্মান হাসি কান্নার ভার যার দুই কাধে। ম্যাচ হারলেও চোখের জল ফেলেন অনেকটা নীবিরে সবার আরালে যাতে তরুনরা ভেঙ্গে না পরেন। বলছি সেই নায়কের কথা, না নায়ক বললে ভুল হবে তার নামের আগে মহা নায়ক শব্দটিই মানায়।
তিনি আমাদের সকলের প্রিয় মাশরাফি বিন মর্তুজা।
0 comments: